1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

[ হাওড়ে ধান কাটার মৌসুম ]: করোনা মহামারীতে কৃষকের সূরক্ষার কোন নির্দেশনা আছে কি??

  • Update Time : বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০
  • ২২৭ Time View

করোনা মহামারীর কারনে হাওড়ে ধান কাটার মৌসুমে যতটা সম্ভব সচেতন হওয়া এক্ষুনি জরুরী।

করোনা ভাইরাস এখন আর শুধু ঢাকা শহর বা জেলা সদরে সীমাবদ্ধ নেই।
এখন বলতে গেলে একদম গ্রামের দরজায় কড়া নাড়ছে।
করোনার সংক্রমন এখন কিশোরগন্জ জেলার হাওড় অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন, অস্টগ্রাম উপজেলা সদর পর্যন্ত চলে এসেছে।
আপনার আর আমার গ্রামে আসতে কতক্ষন?
এক ফসলের এই হাওড় এলাকা বুরো ধানের ফলনের উপর সম্পূর্ন নির্ভরশীল।সারা বছরের খোরাক আসে এ ফসল থেকেই। সারা দেশের চালের সাপ্লাইয়ের একটা বিরাট অংশ এই কিশোরগন্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনার হাওড়ের ধান উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল।

হাওড়ে ফসল ঘরে তোলার পাশাপাশি করোনা সংক্রমন থেকে সুরক্ষার বিষয়েও কৃষকদের যথাসম্ভব সচেতন করা দরকার।এবং সচেতনতার এই কাজটা প্রশাসন থেকে করা হলে বেশী কার্যকর হবে।

কৃষক বাঁচলে দেশও বাঁচবে। যারা দেশের খাদ্য উৎপাদনের মূল কান্ডারী তাদের জীবনের সুরক্ষার বিষয়টাও ভাবা দরকার। তাছাড়া হাওড় অধ্যুষিত ঐ সকল দুর্গম উপজেলাগুলির স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা অন্যান্য উপজেলার মতো এত সহজলভ্য বিষয় নয়।

▪️এজন্য কৃষকদেরকে এই মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সচেতনতা করা যেতে পারে:-

[] অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই করোনা ভাইরাস শুধুমাত্র মানুষের সংস্পর্শ থেকেই হয়।আপনার গ্রামকে করোনা সংক্রমন মুক্ত রাখতে হলে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের বাইরে যাতায়ত আপাতত বন্ধ রাখুন।
[]এ মুহূর্তে গ্রামের বাইরে থেকে আসা যেকোন লোকের ব্যাপারে একটু সচেতন হতে হবে।গ্রামের বাইরে থেকে আসা কোন ব্যাক্তির জ্বর,সর্দী, কাশি,গলাব্যাথা,শ্বাসকষ্ঠের সমস্যা থাকলে তার সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে তাকে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিবেন।তাকে নিজ ঘরে থাকতে অনুরোধ করবেন। প্রয়োজনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অবহিত করতে পাড়েন বা 333 নম্বরে ফোন দিয়ে পরামর্শ নিতে পাড়েন।
[]যদিও এই বিষয়টা খুব কঠিন ব্যাপার তবুও ..ধান কাটা, মাড়াই, শুকানোর সময় যতটুকু সম্ভব লোকজন থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে কাজ করবেন।
[]বাজার করা বা ঔষধ কেনা ছাড়া অযথাই অপ্রয়োজনে বাজারে বা চা সিগারেটের দোকান আড্ডা দিবেন না।
[]কৃষিকাজের প্রয়োজনে মাঠে খাবার খাওয়ার সময় সাবান দিয়ে হাত ও থালা বাসন ধোয়ে নিবেন।একই পানির পাত্র সবাই গনহারে ব্যবহার করবেন না।
[]যেকোন কাজ করার পর বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোবেন।
[]নাক মুখ ঢেকে রাখার জন্য যে কোন ধরনের মাস্ক/মুখোশ ব্যাবহার করুন।
[]কৃষিকাজ করে দিনের বাকি সময়টা পাড়ায় আড্ডা না দিয়ে নিজের ঘরেই থাকুন।

হাওড়ের কৃষক ভাইদের জন্য শুভ কামনা রইলো।
নিরাপদ থাকুন।

ডা: রনক
মিঠামইন, কিশোরগন্জ।
fb:- Mahfuz Ahmed Ronok

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..